Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ভবদহ
স্থান

অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নে অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া থেকে পাকা রাস্তা দিয়ে পায়রা ইউনিয়ন হয়ে গাড়ী বা মটর সাইকেল যোগে ভবদহ এলাকায়া যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

ভবদহ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দর্শনীয় স্থান। চারিদিকে শুধু থৈ-থৈ পানি আর পানি। রাস্তার দুই পাশে ও নদীর দুই পাশে সারিবদ্ধ গাছ রয়েছে যা এ স্থানটিকে অধিক আকর্ষনীয় করেছে। নদীর মঝখানে একটি দ্বীপ রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভবদহকে অভয়নগরের দু:খও বলা হয়ে থাকে। এখানে ভবদহ কলেজ অবস্থিত। কলেজের দৃশ্য মনমুগ্ধকর। এখানে মৎস অবতরণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে জেলেরা মাছ ধরে এনে বিক্রি করে। ভবদহ সংলগ্ন টেকা নদীতে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২১ ভেন্ট, ০৯ ভেন্ট ও ০৬ ভেন্ট স্লুইস গেইট রয়েছে।

​যশোর জেলার মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর  উপজেলার মুক্তেশ্বরী-টেকা-হরি ও আপারভদ্রা-হরিহর-বুড়িভদ্রা নদী দিয়ে বেষ্টিত । আলোচ্য অঞ্চলে বৃষ্টির পানি ও উজানের বাহিত পানি উল্লেখিত নদী সিস্টেম ও এর সাথে সংযুক্ত খালের মাধ্যমে ভাটিতে নিষ্কাশিত হয়। মুক্তেশ্বরী-টেকা-হরি ও আপারভদ্রা-হরিহর-বুড়িভদ্রা নদী সিস্টেম দুটি কেশবপুর উপজেলার কাশিমপুরে মিলিত হয়েছে এবং মিলিত প্রবাহ ভদ্রা-তেলিগাতী-গ্যাংরাইল নাম শিপসা নদীতে পতিত হয়েছে। মুক্তেশ্বী-টেকা-হরি ও আপারভদ্রা-হরিহর-বুড়িভদ্রা এবং এর সাথে সংযুক্ত খাল গুলোর মাধ্যমে অভয়নগর, মণিরামপুর, কেশবপুর ও যশোর সদর(অংশিক) এর প্রায় ২৭টি ছোট বড় বিলের পানি নিষ্কাশিত হয়। সমুদ্রের নোনা পানি প্রতিরোধে এবং কৃষিযোগ্য মিঠাপানি ধরে রাখার জন্য ষাটের দশকে হরি-টেকা নদীর অভয়নগর উপজেলার ভবদহ নামক স্থানে ২১ ভেন্ট স্লুইস নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে আশির দশক পর্যন্ত ভবদহ স্লুইসের সুফল ভালভাবে পাওয়া যায়। সত্তরের দশকের পর হত এই অঞ্চলে নদীগুলোর মূল উৎস্য প্রবাহ পদ্মা হতে বিছিন্ন হওয়ায় সাগর বাহিত পলি উজানের দিকের নদী ও খালের তলদেশে নিক্ষেপিত হতে থাকে। একারণে শুষ্ক মৌসুমে ভদ্রা তেলিগাতি নদীর মাধ্যমে সাগর হতে প্রচুর পলি বাহিত হয়ে হরি-টেকা-মুক্তেশ্বরী নদী ও আপারভদ্রা-হরিহর-বুড়িভদ্রা নদী ও এর সংযুক্ত খাল গুলোর তলদেশে নিক্ষেপিত হয়ে ভরাট হয়ে যায়, আশির দশকের পর হতে পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার খাল ও নদীগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে পলি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে কালক্রমে নদী ও খালের তলদেশে উচু  হতে থাকে এবং পার্শবর্তী এলাকাগুলোতে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর একেই অভয়নগরের দু:খ বলে আখ্যায়িত করা হয়।